December 30, 2024

উন্নয়ন মাপার একটা নিক্তি হলো জাতীয় আয়। আর জাতীয় আয় বাড়ছে কি না, তা দেখারও কিছু হিসাব–নিকাশ আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যের শতভাগ না হোক, সন্তোষজনক মাত্রায় বিশ্বাসযোগ্যতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণ রয়েছে। তা সত্ত্বেও, সরকারি ডেটার বিশ্লেষণেও অনেক অঙ্ক মেলে না। একদিকে আমরা আত্মবিশ্বাস আর গর্বের সঙ্গে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছি, অন্যদিকে সক্ষমতার খাতগুলোয় ভাটার টান। একে একে দেখা যাক সেই খাতগুলোর বাস্তবতা।

জাতীয় আয়ের হিসাবে গরমিল
সরকারি হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি তরতর করে এগোচ্ছে। জাতীয় আয় বা জিডিপি হচ্ছে বিনিয়োগ, ভোগ, সরকারি ব্যয় এবং আমদানি-রপ্তানির সমষ্টি। এই চলকগুলোয় পরিবর্তন এলে জিডিপি কমে বা বাড়ে।

বিনিয়োগ আসে সঞ্চয় থেকে। আমরা দেখতে পাই, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় এবং জাতীয় সঞ্চয় উভয় অনুপাতই কমেছে: জিডিপির ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সাময়িক প্রাক্কলনে দেশজ এবং জাতীয় উভয় ধরনের সঞ্চয় সামান্য বাড়লেও তা জাতীয় আয়ের বৃদ্ধির তুলনায় তা অতিসামান্য। সঞ্চয় তেমন বাড়ছে না। এর অর্থ হলো অধিকাংশ মানুষের আয় কমেছে অথবা ভোগব্যয় এত বেড়েছে যে তারা আর সঞ্চয় করতে পারছে না। বিধায় বিনিয়োগও বাড়ছে না।

সঞ্চয় কম, বিনিয়োগও কম। আয় তাহলে বাড়লো কোথাও এবং কীভাবে?
উপরন্তু কয়েক বছর ধরেই ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ স্থবিরতার খাদে খাবি খাচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে যা ছিল জিডিপির ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে তা ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশে স্থবির হয়ে আছে। অর্থাৎ সাত বছরে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ১ শতাংশও বাড়তে পারেনি। অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগ যথাক্রমে শূন্য দশমিক ১৪ ও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।

সার্বিক অবস্থা যখন এ রকম মলিন, তখন উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে কোন সে শক্তি, কোন সে চালক, কোন সে অদৃশ্য খাত? এই সামান্য পরিমাণ বৃদ্ধি দিয়ে সরকারের দাবি করা প্রবৃদ্ধির উল্লম্ফন কোনো নিয়েমই ঘটার কথা নয়। সুতরাং কোথাও একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে যাচ্ছে।

আবার সঞ্চয় যেটুকু আছে, সেটাকেও বিনিয়োগে পরিণত করা যাচ্ছে না। দিন দিন সঞ্চয় আর বিনিয়োগের মধ্যে ফারাক বাড়ছে। পুঁজি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে বা পাচার হলে এই ফারাক বাড়ে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির হিসাবে ২০০৬-২০১৫ সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।

ভোগ বাড়ল না, বাড়ল জাতীয় আয়?
জাতীয় আয় এই হারে বাড়তে হলে ভোগ বাবদ ব্যয় থেকেই উল্লম্ফন ঘটতে হবে। কিন্তু ভোগ বাড়ছে না। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই ভোগ বাড়লেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সাময়িক প্রাক্কলন অনুযায়ী তা বরং কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপির অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ভোগ যথাক্রমে ৬ শতাংশ এবং ৬৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা যথাক্রমে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ এবং ৭০ দশমিক ৮১ শতাংশে। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি ভোগ কমে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৩০ এবং ৬৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ হয়েছে।

ভোগ বাবদ ব্যয় বাড়লে মানুষের প্রকৃত আয় বা ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কথা। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় আয়ের হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃত জাতীয় আয় ২০০৯-১০ সময় থেকে ২০১৫-১৬ সময়ে ৪২ শতাংশ বেশি হয়েছে। এ সময়ে প্রকৃত মাথাপিছু আয় ৩১ শতাংশ বেড়েছে। সমানতালে ভোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথা ২০১৬ সালের খানা আয়–ব্যয় জরিপ ভিন্ন কথা বলে। ওই জরিপের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালের তুলনায় ব্যক্তিপ্রতি প্রকৃত আয় ২ শতাংশ কমেছে এবং ভোগের জন্য প্রকৃত ব্যয় প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। প্রকৃত আয়ের সঙ্গে পুষ্টি গ্রহণের হারও সম্পর্কিত। জরিপ মতে, ২০১০ সালের তুলনায় পুষ্টি গ্রহণের হার ৫ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩১৮ কিলোক্যালরি থেকে ২ হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে নেমেছে (খানা জরিপ, ২০১৬)।

উচ্চ প্রবৃদ্ধি বনাম উচ্চ বেকারত্ব
পৃথিবীর কোথাও যা ঘটা সম্ভব নয়, তা ঘটছে বাংলাদেশে। প্রবৃদ্ধি লাফিয়ে বাড়ছে অথচ কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে অথচ মাটি ভিজছে না, তা কি হয়? জনগণের একটা বিরাট অংশ শুধু বেকারই থাকছে না, বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে। আয়–উপার্জনের বাইরে রয়ে যাচ্ছে বিপুলসংখ্যক তরুণ। বিশ্বব্যাংক ও আইএলও বলছে, ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে অধ্যয়ন অথবা প্রশিক্ষণের বাইরে রয়ে যাওয়া যুবসংখ্যা ১০ বছরে ১০ ভাগ বেড়েছে। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩১ ভাগ। দক্ষিণ এশিয়ায় বেকার যুবকের হারও সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে—শতকরা ৯ দশমিক ৪৫ ভাগ। ব্রিটিশ কাউন্সিল বলছে, শিক্ষিত যুবকদের শতকরা ৪৭ ভাগ বেকার। শিক্ষিত মানুষের দক্ষতা বেশি, এই অনুমিতিতে তাদের আয় ও সঞ্চয় বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় সেটা থেকেও দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। উপরন্তু অধিকাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করায় মজুরি ও অধিকার দুইই কম।

কমেছে প্রকৃত মজুরি, বেড়েছে দারিদ্র্য
আইএলও বলছে প্রকৃত মজুরি কমেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে প্রকৃত মজুরির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ২০০৮-১৭ সময়কালে বাংলাদেশের মানুষের গড় প্রকৃত মজুরির প্রবৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে কম (৩ দশমিক ৪ শতাংশ)। গোটা দক্ষিণ এশিয়ার গড় হিসাব ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এই সময়ে ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার গড় প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭ এবং ৪ শতাংশ ছিল।

জাতীয় আয় বাড়লে দারিদ্র্য কমার হারও বাড়ার কথা। ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমার হার ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে এই হার ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। অর্থাৎ দারিদ্র্য কমার হার কমছে। তাহলে জিডিপি বৃদ্ধির ফলাফল কোথায় যাচ্ছে?

জাতীয় আয় তাহলে কত?
জাতীয় আয়ের হিসাবের তৃতীয় অংশটি আসে আমদানি ও রপ্তানি নিট আয় থেকে। আমদানি ব্যয় সব সময় বেশি থাকলেও ২০১১-১২ অর্থবছরের ১৮ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্যদ্রব্যের রপ্তানি-জিডিপি অনুপাত কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। বাণিজ্য ও চলতি লেনদেনে ঘাটতি বাড়ছে। এসবই জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার কথা। রপ্তানি খাতের বহুমুখীকরণ হয়নি এবং নেই বৈচিত্র্য। রপ্তানিতে ক্রমাগত কেন্দ্রীভূত হতে থাকা পোশাক খাতে রিটেনশনও খুব কম। ব্র্যান্ডগুলো নির্দিষ্ট কিছু রিটেইলার থেকে উপকরণ কিনতে বলে। মূল্য সংযোজন ২০ শতাংশের বেশি থাকে না। পোশাক খাতের অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি সামান্য বাড়লেও দক্ষদের প্রকৃত মজুরি কমেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে দর–কষাকষিতে না পেরে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার বাধ্যবাধকতায় অটোমেশন হলে অদক্ষ শ্রমিক চাকরি হারাবেন। আরেকটা বড় রকম কর্ম সংকোচনের সম্মুখীন হতে হবে তখন।

সরকারি ব্যয় বাড়ছে প্রতিবছর। সিংহভাগই অনুৎপাদনশীল খাতে। অবকাঠামো ব্যয় সর্বাধিক। প্রকল্প ব্যয় বারবার বাড়ানো হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ বাড়তে বাড়তে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকাতে ঠেকেছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব বলছে, চার লেন সড়ক তৈরিতে ভারতে ১১ থেকে ১৩ লাখ ডলার ও চীনে ১৩ থেকে ১৬ লাখ ডলার খরচ হয়। বাংলাদেশে ৫০ লাখ ডলারের থেকেও বেশি লাগছে।

রাজনৈতিক সুবিধাবাদের কারণে জাতীয় আয়ের হিসাবে যথোপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার না করায় প্রকৃত অবস্থা আড়ালে থেকে যাচ্ছ। যেমন মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে গড় পদ্ধতি অনুসরণ করে অর্থনৈতিক অসমতাকে কার্পেটের নিচে রেখে দেওয়া হচ্ছে। দুজন ব্যক্তির একজনের আয় যদি ১০ টাকা হয় এবং আরেকজনের ১০০ টাকা, তাহলে তাঁদের গড় মাথাপিছু আয় হবে ৫৫ টাকা। অথবা বিল গেটস বা মুকেশ আম্বানিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিলে জনগণের মাথাপিছু আয়ের অসম্ভব রকম উল্লম্ফন ঘটবে। বড় ধরনের অর্থনৈতিক অসমতা এই গড় হিসাবের মারপ্যাঁচে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। অথচ ‘মধ্যক’ নির্ণয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার একটি সমাধানে পৌঁছানো যেত। ধরা যাক, একটি পাড়ায় পাঁচজন লোকের ব্যক্তিগত আয় ৫ টাকা, ১৫ টাকা, ১৩ টাকা, ১০ টাকা এবং ৭ টাকা। এ ক্ষেত্রে বড় মানের সংখ্যাগুলোর স্থান হবে ওপরের দিকে এবং ছোট মানের সংখ্যাগুলোর স্থান হবে নিচের দিকে। এই মানক্রমে কেন্দ্রের সংখ্যাটি হবে মধ্যক। অর্থাৎ ক্রমটি ১৫, ১৩, ১০, ৭, ৫ হবে। কেন্দ্রীয় সংখ্যাটি ১০ এবং এটিই মধ্যক। মাথাপিছু আয় এভাবে নির্ণয় করলে প্রকৃত তথ্য কিছুটা হলেও জানা যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মধ্যকের নিচে অবস্থিত মানুষকেই দরিদ্র বলা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত ১ দশমিক ২৫ পিপিপি ডলারের দারিদ্র্য পরিমাপের হিসাব নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্লোগানের সঙ্গে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

গত শতাব্দীর আশির দশক থেকেই জনমানুষ গ্রাম থেকে শহরে ও বিদেশে শ্রমিক হিসেবে গেছে। তাঁরা আয়ের প্রায় পুরোটাই গ্রামে পাঠিয়েছেন, দারিদ্র্য কমেছে এবং ভোগব্যয় বেড়েছে। ভোগব্যয় বাড়ায় জিডিপির পরিসর বেড়েছে। এখানে সাম্প্রতিক সরকারের নীতি, কৌশলের তেমন ভূমিকা নেই। এটাকে ‘অটো পাইলট’ প্রবৃদ্ধি বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারের সঙ্গে অভিবাসী আয় থেকে সৃষ্ট ভোগের অনুপাত বেশ আয়তনবিশিষ্ট হওয়ায় সরকারি কোনো ইতিবাচক নীতিগত উদ্যোগ বা হস্তক্ষেপ না থাকলেও বাংলাদেশে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি জায়মান থাকবে।

ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান সম্প্রতি তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ভারতে জিডিপির প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কম (সুব্রামানিয়ান, ২০১৯)। সরকারি হিসাবে ২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ সময় ভারতে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৭ শতাংশ। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই সময় প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশেও যদি এ ধরনের গবেষণা চালানো হয়, তবে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে একই হারে কমে ৪-৫ শতাংশের মতো পাওয়া যাবে। এখানেও পূর্ণাঙ্গ ডেটা সেট প্রকাশ করে গবেষণার সুযোগ দিলে জাতীয় আয়ের হিসাবের প্রকৃত খবর পাওয়া সম্ভব।

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম। অর্থনীতির কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়ে হয়তো তাকে ভালোবাসা যাবে না; কিন্তু ঠাকুরের পরের কথায় ভরসা রেখে বলতে পারি, সত্য ‘কখনো করে না বঞ্চনা’। বর্তমান অবস্থা থেকে এগোতে হলে, সত্যটা প্রকাশ করতেই হবে।

Leave a Reply