পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সর্বসাম্প্রতিক বিসিএস পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসনে ‘কোটা’র ভিত্তিতে নিয়োগের প্রশ্নে দেশে যে অস্থির ও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত, কিন্ত তা একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক দিন ধরেই এই নিয়ে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ ছিলো যার প্রকাশ ঘটেছে গত কয়েক দিনে। গত আট বছরে পাঁচটি বিসিএসের ফল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে যে কোটার ভিত্তিতেই বেশি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ চারটি বিসিএসে তিন হাজার ১৬২টি পদ খালি রাখতে হয়েছে পিএসসিকে। এ ছাড়া শুধু কোটার জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএসের ব্যবস্থা করে পিএসসি। প্রার্থী না পাওয়ায় ওই বিসিএসে কোটার এক হাজার ১২৫টি পদও শূন্য রাখতে হয় (শরিফুল হাসান, ‘মেধা নয়, কোটার প্রাধান্য’, প্রথম আলো, ১৩ জুলাই ২০১৩)। তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে একদিকে জনপ্রশাসনে পদ শুন্য থাকছে, অন্য দিকে ইচ্ছুকরা চাকুরি বঞ্চিত হচ্ছেন – এ সবই ঘটছে যখন দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এই বিষয়ে চাকুরি প্রার্থিদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এই ফলাফল বাতিল ঘোষনা করেছে, ১৪ জুলাই রোববার বিকেলে নতুন ফল ঘোষনা করা হবে। তবে কমিশন বলছে যে তাঁরা আগের মতই চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘কোটা’র বিষয়টা বিবেচনায় নেবে। কিন্ত গত কয়েক দিনের আলোচনায় কমবেশি সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে এখন যে ব্যবস্থা রয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ এবং তার সংস্কার করা জরুরি। একে অনেকেই ‘মেধা’ বনাম ‘কোটা’ বলে বর্ননা করেছেন, যার যর্থার্থতা প্রশ্ন সাপেক্ষ – কেননা আমার ধারণা যে পিএসসি’র পরীক্ষা পদ্ধতি ঠিক মেধা বিচারের জন্যে তৈরি নয়। তবে মূল মর্মবানীটি আমরা বুঝতে পারি – চাকুরি প্রার্থিরা সকলেই এক মানদণ্ডে বিচার্য হচ্ছেন না। বিশেষত এই তথ্য নিসন্দেহে উদ্বেগজনক যে দেশের প্রশাসনের ৫৫ শতাংশই আসেন বিশেষ বিবেচনার দ্বারা। এটা দেশের জনপ্রশাসনের জন্যে অবশ্যই ইতিবাচক হতে পারেনা। এই প্রেক্ষাপটে কতকগুলো দিক উঠে এসেছে যা নিয়ে খানিকটা সুস্থিরভাবে বিবেচন করা দরকার।
১।
প্রথম প্রশ্নটা হল ‘কোটা’র সাংবিধানিক দিক। সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের জন্য সকল নাগরিকের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। আবার অন্যদিকে ২৮(৪) বলা হয়েছে যে, ”নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না”। যার আওতায় সরকারি কর্ম কমিশন সরকারি চাকুরিতে ‘কোটা’ ব্যবস্থা চালু করেছেন ও অব্যাহত রেখেছেন। অনেকে যেভাবে এ দুটোকে সাংঘর্ষিক বলছেন সেটা যেমন সঠিক নয়, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে অনগ্রসর অংশ বলে বিবেচনা করার সঠিকতাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। (মনে রাখা দরকার আমরা মোটেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলছিনা এবং এই আলোচনা হচ্ছে স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে)। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, এখানে, এই ‘কোটা’ প্রথা বিষয়ক আলোচনায়, দুটো বিষয় গুলিয়ে ফেলা হয়েছে; একটা হল ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’ এবং অন্যটা হল ‘কোটা’। সংবিধানের ২৮(৪) যা বলা হয়েছে তাতে আসলে ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’। কোনো সমাজে যেখানে সমাজের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী সমান সুযোগ বঞ্চিত সেখানেই এটা থেকে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে এটাকে বলে এফারমেটিভ এ্যাকশন, ব্রিটেনে বলে পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন, কানাডায় বলা হয় এমপ্লয়মেন্ট একুয়িটি। এটা আইনগত ভাবেই এসব দেশে রয়েছে। বাংলদেশে এই ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’এর দিকটা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেটা বিচার করা দরকার। যদিও আমরা দেখি ‘কোটা’ বলে একটা ব্যবস্থা আছে যেখানে বলা হয়েছে নারী কোটা-১০%,উপজাতি কোটা-৫% – এগুলো আসলে কোটা নয়, এগুলো ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’। কিন্ত প্রশ্ন হল আসলেই কি তা যথাযথভাবে অনুসৃত হয়েছে। সরকারী প্রশাসনের দিকে তাকালে তা মনে হয়না। কিন্ত এ বিষয়ে নিয়িমত ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বা কর্ম কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো রকম তথ্য দেয়া হয়নি। ফলে সংবিধানের আক্ষরিক ও মর্মবস্ত – দুই বিবেচনায়ই ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’-এর ক্ষেত্রে সাফল্য আশানুরূপ নয়।
বাকী আরেকটি দিক হল জেলা ভিত্তিক ‘কোটা’ – ১০ শতাংশ। তার সাংবিধানিক ভিত্তিও খুব দুর্বল; কেননা ‘নাগরিক’ আর ‘অঞ্চল’ এক বিষয় নয়। কিন্ত আমরা এটা বলতে পারি যে দেশে অনগ্রসর এলাকা রয়েছে। এই ‘কোটা’ ব্যবস্থা যখন চালু করা হয় তখন তার যে প্রয়োজন ছিল বলে আমরা যদি ধরে নেই এখনও তার বাস্তবতা কতটুকু এবং কিসের ভিত্তিতে কোন জেলাকে ‘অনগ্রসর’ বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সেই অনগ্রসরতা মোচনে সরকারের পদক্ষেপ কি তা কি আমাদের জানা রয়েছে? বছরের পর বছর কোনো জেলা অনগ্রসর থাকবে এবং সরকার সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেবে না তা কেন গ্রহণযোগ্য হবে? ফলে আমার বক্তব্য হল কর্মকমিশনের কাজ হল ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’ –এর বিবেচনায় যতটুকু তাঁদের করা দরকার তা প্রথমে সুস্পষ্টভাবে বলা এবং তার ভিত্তিতে কয়েক বছরের একটা পরিকল্পনা হাজির করা। প্রতি পরীক্ষার আগে ও পরে তাঁদের বাধ্যতা থাকা দরকার যে এ বিষয়ে জনগণকে জানানো। এই পঁচিশ শতাংশের ব্যাপারে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। এতে করে আমার ধারণা ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’-এর বরাদ্দ কমে আসবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার’ এই এফারমেটিভ এ্যাকশনের আওতায় আসতে পারেন কিনা। আমাদের সকলের সম্মিলিত ব্যর্থতা, রাজনৈতিক পরিবেশ সব মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট পরিবারের – পিতা-মাতা (যারা তাঁদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন), স্ত্রী/স্বামী, সন্তান – অনেকেই দুর্ভোগময় জীবন যাপন করছেন। সারা বছরই আমার এ ধরণের খবর দেখি; দুঃখজনকভাবে মার্চে ও ডিসেম্বরে আরো বেশি দেখি। তাঁদের বিষয়ে দেশের, সরকারের এবং জাতির অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে। তাঁদের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় রয়েছে, তাকে শক্তিশালী করা দরকার। কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা ভাবা জরুরি। কিন্ত তাঁরা ‘এফারমেটিভ এ্যাকশন’-এর আওতায় আসতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অসঙ্গত নয়। নিকট আত্মীয়দের বাইরে যারা আছেন তাঁদের সাহায্য করা/ না করার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা/না করার কোনো যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না। তারপরেও মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের অনেকেই বিরূপ পরিস্থিতি সত্বেও সরকারই চাকুরির নিম্নতম প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অনেকটাই অর্জন করেছেন। কিন্ত তাঁদের সংখ্যা কত হতে পারে? সে বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার এবং সেজন্যে আলাদা করে আইন করে সামান্য “কোটা” রাখার কথা সরকার ভাবতে পারেন। কিন্ত তা হতে হবে বাস্তবসম্মত। এখন যারা ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের’ জন্যে কোটা রাখার পক্ষে তারাও কিন্ত এর সংস্কারের পক্ষেঃ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সদস্যরাও তাই বলেছেন।
২।
বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা দাবি তুলেছেন তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা যেমন প্রশ্নাতীত ঠিক তেমনি তাঁদের আন্দোলনের কৌশল প্রশ্ন সাপেক্ষ। এই দাবিতে তাঁদের সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে যে অবমাননাসূচক শ্লোগান দেয়া হয়েছে তা ঘৃনার্হ্য, নিন্দনীয়। কোনো অবস্থাতেই দেশের কোনো জনগোষ্ঠী, তাঁদের দাবি যতই যুক্তিযুক্ত হোক না কেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার অধিকার রাখেনা। তাঁদের মনে রাখা দরকার যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কারণেই আজ তাঁরা এই দাবি তুলতে পারছেন যে তাঁরা যেন সরকারী চাকুরিতে বিবেচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা কেউই এই অবস্থানে আসতে পারতাম কিনা সেটা ভেবে দেখে দরকার। একই সঙ্গে এই সমাবেশ থেকে যে সব প্রতিকৃতিতে হামলা চালানো হয়েছে, মঙ্গল শোভাযাত্রার স্মারকগুলোতে যেভাবে আগুন লাগানো হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যা এই আন্দোলনের উদ্যোক্তারা চান অথবা না চান তার সুযোগ গ্রহণ করেছে একটি রাজনৈতিক শক্তি। ফলে এই আন্দোলনের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলো সেগুলোর নিন্দা করা। সেক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতা তাঁদের জন্যেই কেবল ক্ষতিকারক হয়েছে তা নয়, দেশের জন্যেও ক্ষতিকারক হয়েছে। অতীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মি ও সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের এই আচরণের মিল থেকে এ কথা বলা অসঙ্গত নয় যে তাঁদের আন্দোলনের সুযোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে এই দলটি । এই দাবির সমর্থকরা, কর্মিরা যদি আগামী কোনো কর্মসূচির আগেই এই বিষয়ে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করতে সক্ষম না হয় তবে তা তাঁদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিরা যে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন না সেটা তাঁদের বোঝা দরকার। আন্দোলনের ভেতরে যারা অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে সমবেত হয়েছে তাঁদেরকে বের করে দিতে না পারলে এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সহিংসতা বলেই চিহ্নিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সহিংসতা চালানো হয়েছে তার সঙ্গে সরকারের কাছে দাবি জানানোর সম্পর্ক কোথায়?
এর বিপরীতে সরকারের নেয়া নিবর্তণমূলক ব্যবস্থাগুলো সরকারের জন্যেই বিপদ ডেকে আনছে – সেটা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা মোটেই উপলব্ধি করছেন না। যে দাবি বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে সেই দাবির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পথে কী বাধা ছিল? সরকারী দলের কর্মিরা এবং তাঁদের সমর্থকরা যেভাবে এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে সেটাতে তাঁদের অযৌক্তিক অবস্থানই প্রমাণিত হয়। এই দাবির বিরোধিতা করার অধিকার অবশ্যই যে কোন কারো আছে। তাঁরা বলতেই পারেন যে তাঁরা মনে করেন যে কথিত ‘কোটা’ থাকা দরকার। তাঁদের যুক্তি শোনার জন্যে অনেকেই অপেক্ষা করছেন। এই লক্ষ্যে তাঁরা জনমত গঠনের জন্যে শান্তিপূর্ণ অনেক ধরণের কর্মসুচি নিতে পারতেন, এখনও পারেন। মতভিন্নতার অর্থ এই নয় যে অন্যদের ওপরে চড়াও হতে হবে। শক্তি প্রয়োগ করে তাঁরা জনমত তাঁদের পক্ষে নেয়ার বদলে তাঁদের বিপক্ষেই ঠেলে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার কারণে তাঁরা ক্ষুদ্ধ বলে তাঁরা যদি বলেন তা হলেও বলবো এইভাবে তা মোকাবেলা করার মধ্যে দিয়ে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানালেন কিনা তাঁরা ভেবে দেখতে পারেন। আশা করি তাঁরা নিজেরাই তার উত্তর পাবেন।
৩।
এখনকার এই অবস্থাকে যারা মনে করছেন ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারী ফলাফল নিয়ে বিক্ষোভ মাত্র, তাদের সঙ্গে আমি ভিন্নমত পোষণ করি। সরকার সম্ভবত সেই আশায়ই বলছেন যে এখন নতুন ফল প্রকাশ করা হবে তবে কোটা বিষয়টি পরের স্তরের জন্যে থাকলো। এই অবস্থার পেছনে আছে সরকারী চাকুরি প্রদানে গত কয়েক দশকের বেশি সময় ধরে চলা দলীয়করণ এবং দুর্নীতি। বাংলাদেশে সরকারী চাকুরি – সর্বস্তরেই – যে অর্থের বিনিময়ে জোগাড় করতে হয় সেটা সবাই জানেন। এই অবস্থার ফলেই আজকের বিক্ষোভ। প্রকৃতপক্ষে মেধার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দেশের প্রতিরক্ষা খাত ছাড়া সর্বত্র একই অবস্থা। কোটার নামে এই দুর্নীতি আরো বেশি বিস্তার লাভ করেছে বলেই অভিযোগ, এই বিক্ষোভের পেছনে সেটাও একটা কারণ। আরেকটা বিষয় হল সরকারী কর্ম কমিশনের স্বায়ত্তশাসনের অভাব। সরকারের, আরো স্পষ্ট করে বললে সরকারী দলের, অঙ্গুলি হেলনে কর্ম কমিশন পরিচালিত হয় সেটা কেনা জানে। এই অবস্থার অবসান না ঘটালে সরকারী চাকুরিতে মেধাবীদের আকর্ষন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে আমি সন্দিহান। এই আন্দোলন সেই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে – আন্দোলনকারীরা তা না বললেও; কিন্ত দেশের প্রধান দলগুলো তা মানতে রাজী নয়। তার প্রমাণ হল বিবিসি আয়োজিত সংলাপে সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের দুই প্রতিনিধি কোটা ‘পুনর্বিন্যাসের’পক্ষেই মত দিয়েছেন, কিন্ত কর্ম কমিশনকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার বিষয় নিয়ে আলোচনাই করেন নি।
১৩ জুলাই ২০১৩