December 22, 2024

America’s Challenges in the Greater Middle East: The Obama Administration’s Policies

By Shahram Akbarzadeh

276 pages

Publisher: Palgrave Macmillan; 1 edition (June 15, 2011)

Language: English

ISBN: 978-0230112773

 

ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত দিক বিবেচনায় ‘মধ্য প্রাচ্য’ বিগত কয়েক দশক ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন মার্কিন প্রশাসন মধ্য প্রাচ্যকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত নীতি ও কৌশল অবলম্বন করেছে বিভিন্ন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম ও প্রথম ‘কালো’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বারাক ওবামা প্রতিনিয়ত মধ্য প্রাচ্য কেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইরাক ও আফগানিস্তানে অব্যাহত যুদ্ধ, ইরানের পরমাণু বিতর্ক, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত, আরব বসন্ত ইত্যাদি বিষয় ওবামা প্রশাসনকে বেশ সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে, যদিও প্রেসিডেন্ট ওবামাকে উত্তরাধিকার সূত্রে পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর কাছ থেকে এই চ্যালেঞ্জ গুলো গ্রহণ করতে হয়েছে। বর্তমানে ওবামা প্রশাসনের পরম দায়িত্ব হলো মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা গুলো প্রশমিত কিংবা সমাধান করা। শাহরাম আকবারজাদে এই সংকলিত সম্পাদনার মাধ্যমে মধ্য প্রাচ্যকে ঘিরে বর্তমান এবং পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন নীতির একটি তুলনামূলক চিত্র পাঠকের সামনে উঠে এসেছে। এছাড়া, বইটিতে মধ্য এশিয়াকে ঘিরে মার্কিন নীতির আলোচনা করা হয়েছে। তবে মধ্য প্রাচ্যের ভৌগোলিক সীমারেখা নিয়ে এই সংকলনে সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি, যা পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

মধ্য প্রাচ্য নিঃসন্দেহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম প্রধান একটি  চ্যালেঞ্জ। মধ্য প্রাচ্যের প্রতিটি দেশ এবং প্রতিটি সংঘাতের নিজস্ব ইতিহাস, ধরন এবং  চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বারাক ওবামা বিভিন্ন সময়ে তার অলংকার বহুল বক্তব্যের মাধ্যমে মধ্য প্রাচ্যের চলমান সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সংকল্পের কথা ব্যক্ত করেছেন, যা শুরুর দিকে আরব নেতৃবৃন্দের মাঝে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু প্রায়োগিক অর্থে সেগুলো মূলত অসমর্থনযোগ্য। পূর্বসূরিদের মত ওবামা মধ্য প্রাচ্যের বিদ্যমান নানা সংকট নিরসনে কোন স্থায়ী সমাধানের দিকে অগ্রসর না হয়ে মূলত এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা মধ্য প্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে সহায়ক।

মূলত যুদ্ধ বিদ্বেষী মনোভাবের কারণেই ২০০৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামা ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে মনোনীত হন, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর ওবামা প্রশাসন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষ করার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বহুপাক্ষিক আলোচনার উপর গুরুত্তারোপ করে। পাশাপাশি এ দুটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে গনতান্ত্রতিক মূল্যবোধের সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চ্যালেঞ্জও তারা গ্রহণ করে এবং এর অংশ হিসেবে বিগত কয়েক বছরে ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু আফগান যুদ্ধের ক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসন ভিন্ন পথ অবলম্বন করে চলেছে যা সমালোচনার পথ উন্মুক্ত করেছে। তালিবান সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলা করার পাশাপাশি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ওবামা প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। সমালোচকদের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় উত্তরণের স্লথ গতি, ক্রমবর্ধমান তালিবান হুমকি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মার্কিন সেনা হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি মূলত সমালোচকদের আশঙ্কার একটি বাস্তব চিত্র। যদিও আফগান যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার দায়িত্ব প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপর বর্তায়, কিন্তু উত্তরাধিকারী হিসেবে এই যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়বদ্ধ।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকট সমাধান কল্পে শান্তি আলোচনার অচলাবস্থা দূর করে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা ওবামা প্রশাসনের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে যদি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকটের সমাধান করা যায়, তবে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওবামা প্রশাসন এক ধাপ এগিয়ে যাবে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রতি আরব নেতৃবৃন্দের মাঝে আশা ছিল তার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রলম্বিত আরাব-ইসরায়েল সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু অধিকৃত এলাকায় ক্রমবর্ধমান অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন, জেরুসালেম বিতর্ক, ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা ইত্যাদি শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়াকে প্রতিনিয়ত ব্যাহত করছে যা এই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থাপনের আশাকে ফিকে করে তুলছে। প্রেসিডেন্ট বুশের ন্যায় বারাক ওবামা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা অগ্রসরের মাধ্যমে স্থায়ী সংকট সমাধানে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও আলোচনার টেবিলে অন্য কোনো কূটনৈতিক বিকল্প না থাকায় মূলত স্থিতাবস্থা বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, এই অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং সমস্যা সমাধানে বিকল্প মধ্যস্ততাকারীর প্রয়োজনীয়তা সময়ের দাবি।

অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, কৌশলগত কারণে বিগত কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। ১৯৩২ সাল থেকে সৌদি আরব ‘সাউদ’ পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র উদার গণতন্ত্রের ধারক ও সম্প্রসারণে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করলেও সৌদি আরবের পরিবারতন্ত্রের সমালোচনায় কখনও মুখর হয়নি। বারাক ওবামা প্রশাসনও এই ধারায় ব্যত্যয় ঘটানোর কোন প্রয়াস দেখায়নি। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সৌদি আরব আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনেক খানি এগিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে অন্যান্য রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করাই সৌদি আরবের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করেছে এবং সেই সুবাদে তারা আশা করে এই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থাপনে বেইজিং-এর দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপ করবে। এতদসত্ত্বেও সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবমূল্যায়নের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। অর্থাৎ, সৌদি আরব নতুন স্ত্রী (চীন) গ্রহন করলেও সে তার প্রথম স্ত্রী (যুক্তরাষ্ট্র)-কে আগের মতই ভালবাসে, যদিও প্রথম স্ত্রী এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের নিরাপত্তা বিধান করে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আরব বিশ্বকে আন্দোলিত করা ‘আরব বসন্তে’ সর্বাধিক প্রভাবিত দেশ মিশর। আরব বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনবহুল দেশ মিশরের সাথে বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল, যদিও মিশর বিগত কয়েক দশক ধরে স্বৈরশাসক হুসনে মোবারকের প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ২০১০ সালের শুরুর দিকে তীব্র গণআন্দোলন ও জন রোষের সামনে হুসনে মোবারক ক্ষমতা চ্যুত হতে বাধ্য হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিশরের জনগনের অধিকারের প্রতি তার আকুন্ঠ সমর্থন গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন। মিশরের সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও বেশ পরিবরতন এসেছে। এরূপ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বারাক ওবামা প্রশাসনের মূল লক্ষ্য গুলো হলো- মিশরের সাথে সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখা, মিশরীয় জনগনের ও সুশীল সমাজের আস্থা বজায় রাখা, গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় উত্তরণে মিশরের জনগণ ও সরকারকে সাহায্য প্রদান, নির্বাচনী প্রশাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সাহায্য সম্প্রসারণ যার মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস ও জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি ত্বরান্বিত করা।

ইরানের সাথে সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসন আলোচনাকেই প্রধান নিয়ামক হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু বুশ প্রশাসন আলোচনার চাইতে সামরিক হস্তক্ষেপ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপরে বেশি নির্ভরশীল ছিল। মার্কিন প্রশাসনের এরূপ পরিবর্তিত আচরণকে তেহরান স্বাগত জানায়; যদিও ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা, ইসরায়েলের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব, হেযবুল্লার প্রতি সমর্থন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল তার দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করে যাচ্ছে এবং হুমকি স্বরূপ সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বলে আসছে। ভবিষতে যদি ইসরায়েল এরূপ পদক্ষেপ গ্রহন করে তবে এই অঞ্চলের ঘনিষ্ঠতম মিত্রকে (ইসরায়েল) সাহায্য করা ওয়াশিংটনের জন্য একান্ত জরুরী হয়ে উঠবে যা ইরানের সাথে আলোচনার সকল পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ওবামা প্রশাসনের সামনে কিছু শক্ত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন- আলোচনার জন্য পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ইরানের আস্থা অর্জন, দেশের অভ্যন্তরের বিরোধিতাকে পাশ কাটিয়ে ইরানের সাথে আলোচনা বজায় রাখা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিষয়ে চীন এবং রাশিয়ার সমর্থন লাভের চেষ্টা ইত্যাদি। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট পদে মধ্যপন্থী নেতা  হাসান রুহানি নির্বাচিত হওয়াতে ওবামা প্রশাসনের সাথে ইরানের আলোচনার দ্বার আগের যে কোন সময়ের চেয়ে প্রশস্ত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নজরদারির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর কারন হিসেবে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে  জঙ্গিবাদের উত্থান ও বিস্তার, জঙ্গিবাদ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অক্ষমতা ও যথাযথ কৌশলের অভাব, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ইত্যাদির কথা বলা যায়। স্নায়ুযুদ্ধ কালীন সময় থেকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলেও ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে এই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সরকার তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এই যুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন হামলা শুরু করে। ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী তিব্র সমালোচনের সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার ক্রমাবনতির ফলে যে কোন সংকটপূর্ণ সময়ে পারমাণবিক অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যেতে পারে যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। বুশ প্রশাসন ২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানকে সামরিক খাতে সাহায্য প্রদান করে আসলেও সন্ত্রাস দমনে তা তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারেনি। কাজেই, ইসলামাবাদকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করাই ওবামা প্রশাসনের জন্য শ্রেয়।

শাহরাম আকবারজাদে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির এশিয় রাজনীতি বিষয়ের একজন অধ্যাপক (মধ্য প্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া) ও জাতীয় ইসলামিক স্টাডিজ এক্সেলেন্স কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি মধ্য প্রাচ্য এবং ইসলামিক রাজনীতি বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিশেষজ্ঞদের একজন। তার উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক প্রকাশনা গুলো হলো- US Foreign Policy in the Middle East: The Roots of Anti-Americanism (2008) and The Routledge Handbook on Political Islam (2011).

Leave a Reply