December 26, 2024

অথবা কেউ কি একই সাথে টিএসএফ, পিসিপি ও ফেডারেশন করতে পারে?*

‘পরিচয়ের রাজনীতি’ বা ‘আইডেন্টিটি পলিটিক্স’ কথাটি শুরুতে চালু হয়েছিল ইতিবাচক অর্থেই। জানা যায়, Combahee River Collective নামক মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদীদের একটি গোষ্ঠী তাদের ১৯৭৭ সালের একটি বিবৃতিতে এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। তখন তাদের কাছে ‘পরিচয়ের রাজনীতি’র অর্থ ছিল নিপীড়িত একটি গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের ইতিহাস জানার ও বোঝার মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। তবে কালক্রমে কথাটির ব্যবহার এতটাই ছড়িয়ে গেছে যে অনেকক্ষেত্রে এটি এখন নেতিবাচক অর্থই বহন করে। যেমন যখন বলা হয় ‘পরিচয়ের রাজনীতি হয়ে উঠছে অশান্তি ও বিদ্বেষের জ্বালানি’ বা ‘মানুষের অধিকারের থেকে মানুষের পরিচয়ের রাজনীতি বড় হয়ে উঠেছে’ (যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত লেখা থেকে নেওয়া উদাহরণ), তখন আলোচ্য পদটি একটা নেতিবাচক ব্যঞ্জনা নিয়েই হাজির হয় আমাদের সামনে।

নেতিবাচক অর্থে ‘পরিচয়ের রাজনীতি’ কথাটির প্রয়োগ যারা যে কারণেই শুরু করে থাকুক না কেন, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় যে, সবার রাজনীতির সাথেই কোনো না কোনো পরিচয় জড়িত আছে, যদিও স্থান-কাল-পাত্র ভেদে তা কখনো সামনে আসে, আবার কখনো আড়ালে থেকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘পরিচয়ের রাজনীতি’ কথাটি যখন কেউ শুধুই নেতিবাচক অর্থে প্রয়োগ করেন, তখন আমাদের দেখতে হবে ঠিক কোন প্রেক্ষিতে তিনি তা করছেন। যেমন পদটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এম এম আকাশ ‘পরিচয়ের রাজনীতি, ভাষা আন্দোলন এবং শাহবাগ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেছেন (২০১৩ সালে bdnews24.com-এ প্রকাশিত), “পরিচয়কে যখন আমরা পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী সূত্রবদ্ধ করে ফেলি এবং অন্যদেরকে এই পরিচয়ের বিপরীতে স্থাপন করে শত্রু হিসেবে পরিগণিত করি তখন এই দুই পরিচয়ের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় সেটাই হচ্ছে পরিচয়ের রাজনীতি। এই রাজনীতি মহৎ হয়, যখন শোষিত সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচয়ে শোষক সংখ্যালঘিষ্ঠ পরিচয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনা করে।”

এম এম আকাশের লেখা থেকে নেওয়া উদ্ধৃতির শেষ বাক্যে একটা প্রচ্ছন্ন বক্তব্য রয়েছে, যা খুলে বললে এমন দাঁড়ায় যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে শোষিত-নিপীড়িতরা সবাই যখন একজোট হয়ে লড়াই করে, তখন সেই সংগ্রাম মহৎ। অন্যদিকে স্রেফ ‘শোষিত’ পরিচয়ের ছাতার নিচে সবাই একত্র না হয়ে যখন সেই বর্গের কোনো অংশ নিজেদের বিশেষ কোনো পরিচয়ের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ হয়, তখন সেটিকে খাটো করে দেখা যেতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনুসারে ‘জাতীয় পর্যায়ে’ বাম রাজনীতি করেন এমন কারো কাছে ‘জুম্ম’ বা ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের দাবির প্রতি সন্দেহের চোখে তাকানোর অবকাশ থেকে যায়। আবার একই ধারাবাহিকতায় ‘জুম্ম’ বা ‘আদিবাসী’ পরিচয়কে অধিকার আদায়ের মূল ক্ষেত্র মনে করেন, এমন কারও মনে ‘সান্তাল’, ‘গারো’, ‘ম্রো’ ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে পরিচালিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সংশয় থাকতেই পারে। কিন্তু এমন কেন হবে? কেউ কি একই সাথে টিএসএফ (ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম), পিসিপি (পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ) ও ফেডারেশন (বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন) করতে পারে না?

উপরের শেষোক্ত প্রশ্নে যেসব সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলির বদলে সমতুল্য অন্যান্য নামও বসানো যেত (যেমন টিএসএফের বদলে গারো শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাগাছাস’, পিসিপির বদলে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, এবং ফেডারেশনের বদলে ফ্রন্ট বা ইউনিয়ন), কিন্তু মূল বিষয়টা একই থেকে যেত। তবে আমি আমি যেহেতু লিখতে বসেছি টিএসএফের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিতব্য একটি স্মরণিকার জন্য, আমার লেখার বাকি অংশে আমি মূলত বাংলাদেশের ত্রিপুরাদের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গীর উপরই নজর দেব। এক্ষেত্রে লেখাটিকে পাঠক দেখতে পারেন বড় একটি প্রশ্নের একটি ছোট ও আংশিক (ত্রিপুরা উদাহরণ-ভিত্তিক) উত্তর হিসেবে।

বাংলাদেশের ত্রিপুরাদের উদাহরণ-কেন্দ্রিক একটি আলোচনা

টিএসএফ বা ত্রিপুরা সংসদের মত সংগঠন পাহাড়ি বা আদিবাসী হিসাবে বৃহত্তর পরিসরের ঐক্যের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দেয় কিনা, এ প্রসঙ্গে সংক্ষেপে বলব, উত্তরটা আসলে নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সকলের বোঝাপড়ার উপর। আমি একাধারে একজন ত্রিপুরা, একজন পাহাড়ি, একজন বাংলাদেশি, একজন মানুষ। এই পরিচয়গুলির মধ্যে একটির সাথে আরেকটির কোন অন্তর্নিহিত বিরোধ আছে বলে আমি মনে করি না। আমি আমার পাহাড়ি, বাংলাদেশি বা মানুষ পরিচয়কে ধারণ করি আমার ত্রিপুরা সত্তার মধ্য দিয়েই, তাকে অস্বীকার বা বর্জন করে নয়। তাছাড়া যেহেতু ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের ত্রিপুরারা নানা ধরনের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে, বা এখনো হচ্ছে, আমার কাছে এই পরিচয়ের আলাদা একটা তাৎপর্য আছে। কারণ আমার নিজের প্রান্তিকতার অভিজ্ঞতাকে যথাযথভাবে অনুধাবন ও ধারণ করার মাধ্যমেই আমি বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অন্যদের সংগ্রামের সাথে শামিল হব।

আমাদের পূর্বসূরীরা অনেকে নিজেদের ত্রিপুরা পরিচয় লুকিয়ে রাখতেন, তা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতেন। সেই প্রেক্ষিতে টিএসএফ বা ত্রিপুরা সংসদের মত সংগঠনের একটা বিশেষ ভূমিকা ছিল ত্রিপুরা পরিচয়কে মর্যাদার আসনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। এসব সংগঠনকে কিছু হীন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে ঠিকই, তবে শুধু সেগুলিকেই বড় করে দেখা হলে তা হবে মস্ত ভুল। যাঁরা বলে বেড়ান যে ত্রিপুরা সংসদ ছিল আর্মির সৃষ্টি, তাঁরা হয়তবা জানেনই না যে এটির জন্ম হয়েছিল ষাটের দশকে, বা জানলেও বুঝতে চাননা কেন ত্রিপুরাদের কাছে মনে হয়েছিল তাদের নিজস্ব একটি সংগঠনের দরকার ছিল। আসলে যাঁরা ত্রিপুরা সংসদের মত সংগঠনকে হেয় চোখে দেখেন, বা প্রতিপক্ষ হিসাবে গণ্য করেন, তাঁরা প্রকারান্তরে নিজেদের সংকীর্ণতা, অসহিষ্ণুতা বা জাত্যাভিমানেরই প্রকাশ ঘটান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ত্রিপুরাদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় অতীতে মাণিক্য উপাধিধারী রাজাদের শাসনাধীন ত্রিপুরা রাজ্যকে ঘিরে আবর্তিত হলেও কালের আবর্তনে উক্ত রাজ্যের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সীমানা ছোট হয়ে এসেছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে এসে ‘প্রিন্সলি স্টেট’ হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যের যেটুকু অংশ অবশিষ্ট ছিল, তার বাইরেও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মহারাজাদের বা তাদের আত্মীয়দের জমিদারি স্বত্ব বহাল ছিল। কিন্তু তাদের এই সামন্ত আভিজাত্য ‘তিপ্রা’ পরিচয়ধারী সাধারণ জনগণের জন্য মিথ্যা অহমিকার বোঝা ছাড়া আর কিছুই দেয় নি। এই অবস্থাতেই প্রশাসনিক ভাবে সরাসরি ব্রিটিশ বলয়ে চলে আসা একাধিক তিপ্রা গোষ্ঠীকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছিল নতুন বাস্তবতার সাথে। তাদের বসবাস ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অবশিষ্টাংশকে ঘিরে ছড়িয়ে থাকা বহু প্রত্যন্ত জনপদে, যাদের নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ, সমন্বয় ও সংহতি গড়ে ওঠার মত বাস্তবতা ছিল না। বাংলাদেশের সীমানাধীন যেসব জনপদে তিপ্রারা ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলির মধ্যে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলাতেই সর্বাধিক সংখ্যক ত্রিপুরার বসবাস রয়েছে বেশ দীর্ঘকাল ধরে। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, ব্রিটিশরা ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা সৃষ্টি করে সেটিকে প্রত্যক্ষ শাসনের আওতায় নিয়ে আসার সময় খাগড়াছড়ি এলাকাতে জাতিগতভাবে ত্রিপুরারাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমতাবস্থায় সেখানে (নবগঠিত ‘মং সার্কেলে’) চিফ পদে ত্রিপুরাদের মধ্য থেকে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে ব্রিটিশরা ত্রিপুরাদের ঠকিয়েছিল, এমন একটা বিশ্বাস ত্রিপুরাদের অনেকে এখনো বয়ে বেড়ায়। একজন ‘চাকমা রাজা’ এবং মারমা সম্প্রদায়ভুক্ত দুই রাজার বিপরীতে একই কাতারে ‘নিজেদের’ কোনো নেতা না থাকার বিষয়টি ত্রিপুরাদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতা তৈরি করেছিল। এর পাশাপাশি তাদের বড় অংশের ‘হিন্দু’ পরিচিতি পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোয় তাদের প্রান্তিকতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিল, যা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর নিঃসন্দেহে আরো তীব্র হয়েছিল। এদিক থেকে এটা হয়তবা কাকতালীয় নয় যে সেই বছরেই ত্রিপুরা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

অবশ্য পাক-ভারত যুদ্ধ ছাড়াও অন্যান্য আরো বিষয় সামনে চলে এসেছিল ১৯৬৫ সাল নাগাদ। যেমন, ততদিনে কাপ্তাই বাঁধ চালু হয়ে গিয়েছিল, যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতির মত ত্রিপুরাদের উপরও পড়তে শুরু করেছিল। এছাড়া একই সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতল অঞ্চলের (‘অ-উপজাতীয়’) কৃষকদের বসতি স্থাপনের উপর ব্রিটিশ আমলে আরোপিত আইনি বাধাও সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ধরনের পরিবর্তনের ফলে ত্রিপুরা-অধ্যুষিত বহু জনপদে ভূমির উপর চাপ পড়তে শুরু করে। এসব প্রবণতাও নিশ্চয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সীমানায় বসবাসরত ত্রিপুরাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় যেসব ব্যক্তি সাক্ষর বা সচেতন ছিলেন তাদের মধ্যে নিজেদের একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার চিন্তা এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে।

গোড়ার প্রশ্নের একটা ব্যক্তিগত উত্তর

ছাত্রাবস্থায় (একবছরের জন্য, বুয়েটে) আমি ছাত্র ইউনিয়নের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলাম। তবে সেসময় টিএসএফ বা পিসিপির অস্তিত্ব ছিল না, তাই এ লেখার উপশিরোনামে যে প্রশ্ন রয়েছে, তা একই আকারে আমার বেলায় ওঠার কারণ ছিল না। উল্লেখ্য, টিএসএফের প্রতিষ্ঠা হয়েছে আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর, আর একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে পিসিপির একজন ‘প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে আমার নাম জড়িয়ে গেলেও আমার এই পরিচিতি তৈরি হয়েছিল কাকতালীয়ভাবে, কিন্তু বাস্তবে প্রতিষ্ঠালগ্নে বা পরে কখনো সংগঠনটির সাথে আমার প্রত্যক্ষ কোনো সংশ্লিষ্টতা সেভাবে ছিল না। তবে এসব সংগঠনের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি চাই, এগুলি পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে, এবং গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে।

দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং ঠিক সময়ে ঠিক পদক্ষেপ নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এগুলির অভাবে একটা জাতির ভাগ্যাকাশে কেমন বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, এর অনেক উদাহরণ ত্রিপুরাদের ইতিহাস থেকেই পাওয়া যায়। যেমন আমরা পঞ্চাশ বা একশত বছর পেছনে ফিরে গিয়ে জানার বোঝার চেষ্টা করতে পারি: কেমন ছিল ত্রিপুরাদের তখনকার অবস্থা? কী করছিল তাদের নেতৃবৃন্দ? পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল তথা সমগ্র উপমহাদেশে যখন ব্রিটিশ শাসন চলছিন, তখন বিভিন্ন ক্রান্তিকালে ইতিহাসের চাকা কোনদিকে চলতে শুরু করেছিল, তা কি ঠিকমত পাঠ করতে পেরেছিলেন ক্ষত্রিয়ত্বের অহমিকায় বিভোর বিভিন্ন স্তরের সামন্তবর্গীয় তিপ্রারা? শেষোক্ত এই প্রশ্নের সাধারণ উত্তর হল, ‘না’।
….

ইতিহাসের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে ত্রিপুরার মহারাজারা ক্রমেই দূরে সরে গিয়েছিলেন সাধারণ জনগণ – বিশেষ করে তিপ্রাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী – থেকে। অবশ্য তাঁদের রাজত্বের অন্তিমকালে এসে রাজপরিবারের কিছু সদস্য নতুন করে ঝুঁকেছিলেন তাঁদের রাজশক্তির আদি উৎস তিপ্রা গোষ্ঠীসমূহের প্রতি, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে! ইতিহাসের এমন শিক্ষার আলোকে টিএসএফ বা ত্রিপুরা সংসদের মত সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্বকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন তাদের কর্মকাণ্ড সবসময় জনসম্পৃক্ত থাকে, এবং তারা যেন ঠিক সময়ে ঠিক পথে পা ফেলতে পারে।

*টীকা: এই নোটটি হল ‘পরিচয়ের রাজনীতি বনাম অধিকারের লড়াই, অথবা কেউ কি একই সাথে টিএসএফ, পিসিপি ও ফেডারেশন করতে পারে?’ শিরোনামে তৈরি করা আমার একটি সাম্প্রতিক নিবন্ধের সংক্ষিপ্ত রূপ। বর্তমান ভাষ্যের আড়াই গুণ কলেবরের মূল লেখাটি ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম বা টিএসএফের একটি প্রকাশনার জন্য লিখেছিলাম ডিসেম্বর ২০১৭-এর শেষ সপ্তাহে। প্রকাশনাটি বেরিয়েছে বলে জানি, তবে আমি নিজে এখনো হাতে পাই নি, তাই বিস্তারিত সূত্র উল্লেখ করা গেল না। প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবি নেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট থেকে (উৎস: খোলা কাগজ)।

Leave a Reply