রাজনীতির বিবেচনায় আপাতদৃষ্টে ২০১৭ সাল যে শান্তিপূর্ণ ছিল, এ কথা সহজেই বলা যায়। রাজপথে উল্লেখযোগ্য প্রতিবাদের অনুপস্থিতি, ঘটনাবলির ওপরে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত নাটকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব না হওয়ায় বছরটিকে আমরা আওয়ামী লীগের জন্য অনুকূল বছর বলেই বিবেচনা করতে পারি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বছরটি ঘটনাবহুল ছিল না; কিংবা এ-ও নয় যে বছরটির তাৎপর্য কম। বরং ২০১৭ সাল রাষ্ট্র হিসেবে, একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্য একটা তাৎপর্যবহ বছর বলেই চিহ্নিত হওয়া দরকার।
রাজনীতিতে দৃশ্যমান অস্থিরতা ছিল না, কিন্তু অস্বস্তি ও অনিশ্চয়তা যে অনুপস্থিত ছিল তা নয়। সেই অস্বস্তি ও অনিশ্চয়তা ক্ষমতাসীনদের আচরণেও প্রকাশ পেয়েছে, যেমন উপস্থিত থেকেছে সাধারণ মানুষের আলোচনায়। একটি বড় সময় ধরে সেই আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন দেশের উচ্চ আদালত এবং প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অনিশ্চয়তার এক উৎস হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের এবং তা সহ্য করার জায়গা ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাওয়া; বিপরীতে ভয়ের সংস্কৃতির বিস্তার। গুমের ঘটনা, যা একটি হলেই উদ্বেগের তা কেবল বহাল থেকেছে তা নয়, ২০১৭ সালে তা হয়ে উঠেছে প্রাত্যহিক ঘটনা এবং তার প্রকৃতি ও ব্যাপ্তি দুই-ই যেকোনো নাগরিকের জন্য হয়ে উঠেছে আতঙ্কের ও আশঙ্কার। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রশ্নে মানবিকতা প্রকাশে সরকারের যতটা সাফল্য, কূটনীতিতে তার ব্যর্থতা এখন পর্যন্ত সম্ভবত ততটুকুই। এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রভাববলয় বিস্তারের ও ক্ষমতা বিন্যাসের পরিবর্তনের মুখে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত দেশগুলোকে পাশে না পাওয়ার ঘটনা কেবল একটি সংকটের বিষয় নয়, ভূরাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনাকে যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যর্থতাও কি না, সেটাও ভাবা দরকার।
এই তিন বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আগামী বছরকে ছাড়িয়ে আরও অনেক সময় ধরে বাংলাদেশের সমাজ, রাষ্ট্র, শাসনের কাঠামোর ওপরে প্রভাব রাখবে।
বিচার ও নির্বাহী বিভাগের লড়াই
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন জমা দেওয়ার খবরে এ কথা অনুমানের কোনো কারণ ছিল না যে তার এক পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটবে ১১ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে পাস করা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আইনি প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল ওই বছরের নভেম্বরে হাইকোর্টে রিট আবেদনের মধ্য দিয়ে। এ বছরের ৩ জুলাই সরকারের আপিল আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায় এবং ১ আগস্ট তার সম্পূর্ণ ভাষ্য প্রকাশের পর ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সংসদ সদস্যদের মন্তব্য, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক, প্রধান বিচারপতির ছুটি বিষয়ে বিভ্রান্তি, এস কে সিনহার দেশত্যাগ, অন্যান্য বিচারপতির বিবৃতি, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে কথিত ১১টি অভিযোগ এবং শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ—এই ছিল ধারাক্রম। এগুলো যেসব প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, সেগুলোর উত্তরের জন্য ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের হাতে বিকল্প নেই। তবে এগুলোর উত্তর যে আদৌ পাওয়া যাবে এমন কোনো গ্যরান্টিও নেই।
কিন্তু ১ আগস্ট থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনাবলিতে এটা তো স্পষ্ট যে আদালতের সর্বসম্মত একটি রায়ের কারণে আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত হয়েছেন এককভাবে প্রধান বিচারপতিই; এসব আলোচনা ও প্রকাশভঙ্গি কি কার্যত হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল তারই ইঙ্গিত দেয়নি? তদুপরি রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী যে ‘রায়ের সঙ্গে দ্বিমত সত্ত্বেও রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ থাকার কথা বলেছিলেন, তাঁর সহকর্মীরা সেই বক্তব্যকে গ্রহণ করেননি বলেই তাঁদের আচরণে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এগুলো ঘটনামাত্র।
প্রধান বিচারপতির ‘অপসারণের’ পেছনে শুধু ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ কাজ করেছে, বিষয়টি কোনোভাবেই এমন নয়। সেটা বোঝা যায় ১১ ডিসেম্বর সরকারের ঘোষিত নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধিবিষয়ক গেজেটের দিকে তাকালেই। এই নতুন বিধি অনুযায়ী ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির হাতেই থাকল। ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা ২০১৭’ নামে অভিহিত এই গেজেট প্রকাশের বিলম্বের কারণ হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একটি বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘এক ব্যক্তির এটিকে রাজনীতিকীকরণের চেষ্টার কারণে বিলম্বিত হয়েছিল। তিনি সরে যাওয়ায় তাঁদের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের ঐকমত্যে রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে এই গেজেট করতে পেরেছি।’ কিন্তু সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতির হাতে এই ক্ষমতা থাকা নিয়ে কেবল এস কে সিনহাই আপত্তি জানাননি, ২০০৮ সালের পরে আরও পাঁচজন প্রধান বিচারপতি একই কথা বলে এসেছেন।
বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের টানাপোড়েন থাকা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তো অবশ্যই যেকোনো প্রজাতন্ত্রের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। ক্ষমতার ভারসাম্য বা চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের জন্যই তার দরকার। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সেই টানাপোড়েনের যেভাবে আপাত সুরাহা হলো, তা রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের ভারসাম্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হলো তা আমাদের বুঝতে হয়তো খানিকটা সময় লাগবে, কিন্তু তা অস্বীকার করার উপায় থাকবে না। ২০১৮ সালে আদালতের সামনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধিবিষয়ক আদেশ, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ শুনানি এবং ৭০ অনুচ্ছেদবিষয়ক হাইকোর্টে চলমান রিট আবেদন তার মাত্রা বুঝতে সাহায্য করবে।
গুম, নিখোঁজ ও নীরবতা
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুমের ঘটনার ব্যাপ্তি ও প্রকৃতিতে এটা বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে ২০১৭ সালে। বছরের প্রথম ১০ মাসে ৫০ জন গুম হয়ে যাওয়া বা আগস্ট থেকে নভেম্বরে ১৪ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণে এই পরিবর্তন ঘটেনি। এই সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এমন লোকও আছেন, যাঁদের গুম হওয়ার ঘটনা তাঁদের পরিবারের বাইরে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভয়ের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত গবেষক ও তরুণ শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান, সাংবাদিক উৎপল দাস, সাবেক কূটনীতিক মারুফ জামানের নিখোঁজ বা গুম হওয়ার ঘটনাগুলো আসলে যা করতে সক্ষম হয়েছে তা হচ্ছে যেকোনো ধরনের মতপ্রকাশের পথ যে অগ্রহণযোগ্য এবং যে কেউ যে এখন গুমের শিকার হতে পারেন। যদিও গত কয়েক বছরে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে দায়ী করে এসেছে, সরকার সব সময়ই তা অস্বীকার করেছে। সরকারের এই অস্বীকৃতি গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয় না। কেননা, তাঁদের অনেককেই পরে ‘আটক’ দেখানো হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে যে সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হয়, যাতে এসব গুমের ঘটনা একধরনের বৈধতাই লাভ করে।
গত কয়েক বছরে গুম হয়ে যাওয়া যেসব মানুষ সৌভাগ্যবশত ফিরে এসেছেন (সাম্প্রতিক সময়ে মোবাশ্বার ও উৎপল), এ বিষয়ে তাঁদের নীরবতা বিস্ময়কর বলে মনে হয়, কিন্তু দুর্বোধ্য নয়। সরকারের পক্ষ থেকে এসব মানুষের কাছ থেকে কোনো রকম তথ্য উদ্ধারের চেষ্টার অভাব প্রমাণ করে যে এ বিষয়ে তাদের উৎসাহের ঘাটতি আছে, ফলে ছাড়া পাওয়া মানুষ যে এখনো সন্ত্রস্ত জীবনযাপন করেন, সেটাই স্বাভাবিক।
মানবিক সাফল্য, কূটনৈতিক ব্যর্থতা?
মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়ে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের ঢল বাংলাদেশমুখী হলে আগস্টের শেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতিহীনতাই কেবল দৃশ্যমান হয়নি, এ বিষয়ে বিভ্রান্ত পররাষ্ট্রনীতিও প্রকাশিত হয় যখন বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে যৌথ নিরাপত্তার প্রস্তাব হাজির করে। কিন্তু মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পটভূমিকায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট পাঁচ দফা প্রস্তাব
এই ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোকে ব্যবহার করে মিয়ানমারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করেই এই সাত লাখ শরণার্থীকে ফেরানোর পথে অগ্রসর হবে। বাংলাদেশের এই মানবিক অবস্থান এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা লাভ করে।
কিন্তু এই সংকটকালে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত ভারত, চীন ও রাশিয়া যখন তাঁদের জাতীয় স্বার্থের বিবেচনায় বাংলাদেশের বদলে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ায়, তখন বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে নিঃসঙ্গ বলেই মনে হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাপানের সমর্থন লাভে সফল না হওয়াও বিস্ময়কর। দুর্ভাগ্যজনক এই যে এসব দেশ বাংলাদেশের পাশে আছে বলার মাধ্যমে সরকার একধরনের বিভ্রান্তিই তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চীনের দেওয়া দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পথে অগ্রসর হয়ে একধরনের সমঝোতায় উপনীত হয়েছে, যার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই, বরং তা মিয়ানমারের ইচ্ছেনির্ভর। এই সংকটে বাংলাদেশের পক্ষে ভূরাজনৈতিক এবং ভূকৌশলগত বিবেচনায় যেসব সুবিধা গ্রহণের সুযোগ ছিল, তা নিতে না পারার বিষয়টিই পরিষ্কার হয়েছে।
নির্বাচনের রাজনীতি
দেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তার একটি উপাদান হচ্ছে ২০১৮ সালের শেষে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রকৃতি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির চাওয়ার ব্যাপারে সরকার যে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়, সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় স্পষ্ট। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন আদায় না করতে পারলে এবং ইতিমধ্যে বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান দুটি দুর্নীতি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত কথা বলার সময় আসেনি। বিএনপির প্রধান তিন মাস দেশের বাইরে অবস্থানের পর দেশে ফিরলে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে সেটা লক্ষণীয়, নভেম্বর মাসে ঢাকায় দলের সমাবেশে সেটা দেখা গেছে; যদিও তা সাংঠনিকভাবে দলটির শক্তি সঞ্চয়ের বা দলের আগামী দিনের দিকনির্দেশনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় না। অন্যদিকে দেশের রক্ষণশীল ইসলামপন্থীদের, বিশেষত হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সখ্য, তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি না এলেও যেন তারা তৃণমূলে উপস্থিত একটি রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনের মাঠে উপস্থিত রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে।
দেশের রাজনীতি যে এখন নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে, সেটা নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ, বিভিন্ন দল ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে আলোচনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ও ভোটারদের আস্থা অর্জনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সামনে অনেক কাজই বাকি; ঢাকা উত্তরের মেয়রসহ আরও পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ উল্লেখযোগ্য। তবে সবার অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, সেটির দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলের, একার্থে প্রধানমন্ত্রীর।