November 20, 2024

ভবিষ্যতের দুঃস্বপ্ন নিয়ে জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত লেখা ‘১৯৮৪’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। তিনি বলতে চেয়েছেন, ‘বড় ভাই বা বিগ ব্রাদার তোমাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছেন’ বা তোমার ওপর নজর রাখছেন। অন্য কথায় বলা যায়, রাষ্ট্র এবং তার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো তোমার ওপর নজরদারি করছে। কেউ চেষ্টা করেও সহজে এর বাইরে যেতে পারে না। ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে চলছিল জোসেফ স্টালিনের দোর্দণ্ড প্রতাপের শাসন। তার নিষ্ঠুরতার কুখ্যাতি বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। কমিউনিজমে ব্যক্তিসত্তা বা স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। দেশের ভেতরে ভিন্নমত তো দূরের কথা, পার্টি ও সরকারের প্রধান নেতার কোনো কাজে পূর্ণ সম্মতিতে সামান্যতম ঘাটতি রয়েছে মনে হলেই গর্দান যাওয়া কিংবা নির্বাসিত হওয়ার শঙ্কা পূর্ণমাত্রায়। নির্বাসন দণ্ড যাদের হতো, তারা নিজেদের অতি ভাগ্যবান মনে করতে পারতেন। এ কারণেই অনেক পাঠকের মনে হয়েছে যে, স্টালিনকে সামনে রেখেই জর্জ অরওয়েল তার বইটি রচনা করেছেন।

পাশ্চাত্যের অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি এ বিষয়টিকে বিশেষভাবে সামনে আনায় সচেষ্ট ছিলেন এ কারণে যে, এর ফলে নিজেদের সমাজের অনেক গলদ আড়াল রাখা সম্ভব হতে পারে। তখন একটি মহল সব দোষ কমিউনিজমের ওপর চাপিয়ে দিতে সচেষ্ট ছিল। প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্র কীভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করছে, সেটাই তিনি দেখিয়েছেন এ গ্রন্থে। তিনি বিবিসিতে কাজ করার সময়েই বিষয়টি সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন। তার কাছে এটাই ভবিষ্যতের জন্য দুঃস্বপ্নের কাল, যা কেউ চায় না কিন্তু আসতেই পারে। রাষ্ট্র ভয়ঙ্কর সব মারণাস্ত্র বানায়। রাস্তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসায়। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের এ এক ভয়ঙ্কর রূপ, যা এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যেও চরম কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। অরওয়েলের কাছে এ চিত্র ছিল পরিষ্কার এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন আগামী দিনের ব্যক্তি ও সমাজের সমস্যা। অরওয়েলিজম হিসেবে এখন বিষয়টি অনেকের কাছে স্বীকৃত, যেখানে ব্যক্তির স্বাধীনতা ক্রমে কমে যাচ্ছে।

Source: http://28.media.tumblr.com/tumblr_lqdi3bAAoY1qjro9go1_500.jpg
Source: http://28.media.tumblr.com/tumblr_lqdi3bAAoY1qjro9go1_500.jpg

 

অরওয়েলের লেখা প্রকাশের ছয় দশক পর জাপানের এক বিখ্যাত লেখক হারুকি মুরাকামি ‘১৯৮৪’ বইটিকে সামনে রেখেই বলেছেন, হ্যাঁ_ বিগ ব্রাদার অবশ্যই তোমাকে কড়া নজরদারিতে রাখছেন। একই সঙ্গে আরেকটি বাস্তবতাও রয়েছে। এ ধারণারই প্রকাশ ঘটিয়েছেন তার বই ‘১ কিউ ৮৪’তে। তিনি ১৯৮৪-এর ৯ অঙ্কটি বাদ দিয়ে তার স্থানে ইংরেজি ‘কিউ’ বসিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে চিরকালীন রূপ দিতে চেয়েছেন। জাপানি ভাষায় ৯ উচ্চারিত হয় ‘কিউ’-এর মতো। তার তিন খণ্ডের বইতেই তিনি ‘কিউ’ ব্যবহার করে দেখাতে চেয়েছেন, কেবল ১৯৮৪ সাল নয়, আরও অনেক পরে এ ধরনের সমস্যা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেছেন, বিগ ব্রাদার অবশ্যই আছে। কিন্তু পাশাপাশি আছে লিটল পিপলও, যারা তোমার ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে। এই লিটল পিপলকে আমরা বলতে পারি দুষ্ট কিংবা নীচুমনের মানুষ। শয়তান প্রকৃতির লোকদেরও এ দলে ফেলা যায়। যত দিন যাচ্ছে, তাদের ক্ষমতা যেন বাড়ছে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বা তার শঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন কিংবা ভারতের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িতদের আমরা এ দলে ফেলতে পারি। এরা জড়িত ছোট-বড় সন্ত্রাস, নারী ও শিশু পাচার, জাল নোট প্রস্তুত এবং এ ধরনের আরও অনেক অপরাধের সঙ্গে। এমনকি স্কুলে গিয়ে শিশুদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতেও তাদের বুক কাঁপে না। রাজনৈতিক সমাবেশে তারা অবলীলায় বোমা হামলা চালায়। আগামীতে এই লিটল পিপলদের আরও কত ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে হবে, সেটা নিয়েই তার ট্রিলজি ১ কিউ ৮৪।

এ লিটল পিপলরা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একক পরাশক্তির দেশকেও স্থায়ী দুঃস্বপ্নের জগতে ঠেলে দিয়েছে। একবার ভাবুন ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলার সময়ের কথা। গুটিকয়েক অচেনা-অজানা লোক আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল নিরাপত্তার আবরণে ঢাকা এ দুটি স্থাপনায়। এরপর থেকে শত শত পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক দেশটির নীতিনির্ধারকদের সর্বক্ষণ শঙ্কা_ ফের কখন ও কোথায় এমন কিংবা আরও সর্বনাশা হামলা হয়! এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু গত এক যুগে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বিশ্ব আগের চেয়ে নিরাপদ হয়েছে_ এটা কেউ বলবে না।

আমাদের এই অঞ্চলেও লিটল পিপলদের ভয়ে অস্থির সবাই। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে ‘আর গুলি চলবে না’_ এমন ঘোষণা শীর্ষ পর্যায় থেকে কতবারই না এসেছে! কিন্তু গরু চোরাচালান থামছে না এবং এ কারণে নিয়মিত বিরতিতে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এর প্রধান কারণ এ অপরাধের সঙ্গে অনেক ধরনের লোক জড়িত, যাদের কেবল ভারত বা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একটি মামুলি ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে তারা যে কোনো হিংস্র পন্থা অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর।

সম্প্রতি ঢাকাসহ বাংলাদেশের অনেক জেলা ও উপজেলা সদরে আমরা দেখছি গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা। আক্রমণ হচ্ছে পুলিশের ওপর। সাধারণ মানুষ নিজেদের এক মুহূর্তের জন্যও নিরাপদ ভাবছে না। এখানেও লিটল পিপল কিন্তু ভয়ঙ্কর মানুষের দাপট। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা বেশি থাকে, তখন রাজনৈতিক তো বটেই এমনকি সমাজের নানা ক্ষেত্রেও লিটল পিপলদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তারা হিংসা ছড়ায়; নিজেদের টার্গেট পূরণে অলক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা আধিপত্য বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়_ যে কোনো ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের নেতৃত্বের পরস্পরকে দোষারোপ করার প্রবণতা। বিষয়টি ব্লেম গেম হিসেবে পরিচিত। এমনকি যে ঘটনায় তাদের কারও সামান্যতম সংশ্রব নেই, সে ক্ষেত্রেও একে অপরকে দোষারোপ ও ঘায়েল করতে চায়। আর যারা এ ঘটনার পেছনে তারা তখন মজা দেখে। এ ধরনের পরিস্থিতি জনগণকেও হতাশায় ফেলে। তারা বুঝতে পারে আজ যেদিন; কালকের দিনটি তার চেয়েও কঠিন হতে পারে। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে কিংবা শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা দেশ ভালোভাবে চালাবে_ এমন প্রত্যাশা করা যেন ক্রমেই অসম্ভব বিবেচিত হচ্ছে।

পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, সেটা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না_ এটাই বলছে ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রধান অংশীদার আওয়ামী লীগ। একই কথা বলেছিল বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে। তারাও সংবিধান রক্ষায় আপসহীন থাকতে চেয়েছিল। চরম অসহিষ্ণুতা দেখিয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চরম বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তাতে দলেরও লাভ হয়নি, দেশেও শান্তি আসেনি। এখন যেন তারই পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করছি। আর এ থেকেই দেশের জনগণের মধ্যে দুঃস্বপ্ন ও আতঙ্ক। কীভাবে এর সমাধান হতে পারে_ সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহল ফর্মুলা দিচ্ছে। কিন্তু এটা সবাই বুঝতে পারছে যে, প্রধান দুটি দল_ সর্বোপরি দুই দলের দুই শীর্ষ নেত্রীর সম্মতি ব্যতিরেকে কিছুই হবে না। কিন্তু এটাও তো মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন_ এ ধরনের সহমত কি সম্ভব? সরকারি দল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বলছেন। এ সরকারে দুই প্রধান দলের লোক থাকতে পারেন। বর্তমান সরকারে একাধিক অনির্বাচিত ব্যক্তি রয়েছেন। অতীতেও এমনটি ছিল এবং আমাদের সংবিধানেই সে সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারে অনির্বাচিত ব্যক্তি তাই থাকতেই পারেন এবং শাসক দলের তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়। অর্থাৎ দুই দলের মনোনীত নির্বাচিত ব্যক্তির বাইরেও নির্দলীয় লোক এ সরকারে থাকতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সরকারের প্রধান নির্বাহী কে হবেন? সরকারি দল আওয়ামী লীগের কেউ হলে বিএনপি তা মানবে না। বিএনপির কাউকে আওয়ামী লীগ মেনে নিয়ে তার কাছে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা অর্পণ করবেন_ সেটাও অসম্ভব। সহমত হয়ে অনির্বাচিত কাউকে প্রধান নির্বাহীর ক্ষমতা দিতে না চাইলেও সমাধান সূত্র বের করা যায়। দুই দল রাজি থাকলে তাদের পছন্দের ব্যক্তি জাতীয় সংসদের কোনো শূন্য আসন থেকে উপনির্বাচন করে আসতে পারেন। এভাবে নির্বাচনকালীন যে মন্ত্রিসভা গঠিত হবে, তা জাতীয় সংসদে অনুমোদন করিয়ে আনতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ সরকারের কেউ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে প্রার্থী হবেন না কিংবা মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন না_ সেটা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে সরকারি দলের দাবিমতো নির্বাচিত সরকারের অধীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আবার বিরোধীদের দাবিমতো নির্দলীয় সরকারও এভাবে পূরণ হতে পারে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির ‘বিডিআর বিদ্রোহকেও’ আমরা লিটলম্যানদের দাপট হিসেবে মনে করতে পারি। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এবং নতুন সরকার গঠিত হয় ৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে। নতুন সরকার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু না করতেই রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে তথাকথিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে দু’জন ছিলেন সেনা অফিসারের স্ত্রী। বিদ্রোহীরা মৃতদেহের অবমাননা করে। যে দরবার হলে প্রথম আক্রমণ পরিচালিত হয়, সেই দরবার হলে মাত্র একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআর জওয়ানদের প্যারেডে সালাম গ্রহণ করেন। কী চরম অনিরাপদ স্থানেই না দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন! বিদ্রোহের পর তা কীভাবে মোকাবেলা হবে, সামরিক অভিযান পরিচালিত হবে কি-না, তা নিয়ে নীতিনির্ধারক মহল চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছিলেন। রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা নিয়ে সব মহলে আলোচনা হতে থাকে। যারা নিষ্ঠুর উপায়ে এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে তাদের তৎপরতা ছিল রাষ্ট্রের কাছে সম্পূর্ণ অজানা। আরও লক্ষণীয় যে, শুরুর দিকে বিদ্রোহী জওয়ানরা এত বড় হত্যাকাণ্ডকেও সম্পূর্ণ গোপন রাখতেই শুধু সফল হয় না, টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচারের সুবিধা ব্যবহার করে তাদের কথিত বিদ্রোহের পক্ষে এক ধরনের অনুকূল জনসমর্থনও সৃষ্টি করে। তারা বলছিল, ‘ন্যায়ের জন্য’ তারা কাজ করছে। পিলখানার বিদ্রোহের সমর্থনে রাজশাহী, দিনাজপুর, ফেনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, বান্দরবানসহ অনেক স্থানেও জওয়ানরা বিদ্রোহ করে। রাষ্ট্র তার নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা করে। কিন্তু এভাবে যে ‘বিডিআর জওয়ানদের’ তরফ থেকে নিরাপত্তা চরমভাবে বিপন্ন হতে পারে, সেটা কে ভেবেছিল? যারা বরাবর কমান্ড ফলো করে, তারা নিজেরাই কমান্ড নিয়ে নেয় এবং রাষ্ট্রকে হতচকিত করে দেয়। সৌভাগ্য যে, এ বিদ্রোহ স্বল্পকাল স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে ঘটবে না_ তার নিশ্চয়তা কেউ কি দিতে পারেন?

আমাদের তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না, জর্জ অরওয়েল বা মুরাকামির মতো দুঃস্বপ্নের জগতে প্রবেশ করা খুবই সম্ভব। এর মোকাবেলায় কত দিকেই না আমাদের নজর রাখতে হবে!

প্রথম প্রকাশঃ দৈনিক সমকাল, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০১৩

Leave a Reply