জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা এবং পেশাদার বিবেচনার সাথে বৃহত্তর জনমতের ঘনিষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করা যে কোন উন্নয়নকামী সমাজের উদ্দেশ্য। লক্ষ্যনীয় যে প্রযুক্তি মানুষের কল্যানে কতটা কার্যকর হবে তা সমাজের ভূমিকার উপর বহুলাংশে নির্ভর করে। যত্নবান না হলে প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণ সাধন না করে ক্ষতির কারনও হতে পারে। ফলে জ্ঞানচর্চায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের কঠোর পরিশ্রমের সুফল সমাজের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে বৃহত্তর পরিসরে প্রযুক্তিকে মূল্যায়ন করার প্রয়োজন পড়ে। একই সাথে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা যাতে করে সমাজ থেকে অনপ্রেরণা গ্রহণ করতে পারে সেটাও নিশ্চিত হওয়া দরকার।
তাই প্রযুক্তির সমাজিক-রাজনৈতিক দিকের মূল্যায়ন নিয়ে কথকতা এই আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে আলোচকরা নিজস্ব পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রযুক্তির সামাজিক দিক নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রযুক্তির সামাজিক দিকটি বিবেচনা করলে যে কয়টি সাম্প্রতিক বিষয় উদাহরন হিসাবে আসতে পারে তার মধ্যে রয়েছে রামপাল তাপ বিদ্যুত প্রকল্প, তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংস্কার, টীকা আতঙ্ক, জেনেটিকালি মডিফাইড বিটি-বেগুন বিতর্ক ইত্যাদি। কথকতা ব্লগে এর মধ্যেই তাপবিদ্যুত প্রকল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ লেখা বেরিয়েছে। কথকতার পাঠকদের সুবিধার্থে এই আলোচনায় চৌম্বক অংশ নিচে ইউটিউব লিঙ্ক আকারে দেয়া হোল।
এই আলোচনার প্রথম অংশে (প্রথম ৩১.৩০ মিনিট) ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধনের ফলে নাগরিক অধিকারের ওপর তার প্রভাব এবং রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রসংগে নানা দিক তুলে ধরেছেন। আর দ্বিতীয় অংশে (৩১.৩০ মিনিট এর পর থেকে) ডঃ তানজীম উদ্দীন খান উন্নয়ন প্রকল্পের জনস্বার্থমুখী হবার পথে বাঁধাগুলিকে রাজনৈতিক অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত দিক তাঁর আলোচনায় উঠে এসেছে। দু’জন বক্তাই আলোচিত সমস্যাগুলো থেকে নিষ্কৃতির সাম্ভাব্য উপায় সম্পর্কেও তাদের মতামত জানান।
কথকতার আমন্ত্রনে এই আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন:
সাজ্জাদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মাহরুখ মহিউদ্দীন, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড
নাহাদ-উল-কাশেম অর্কিড, সমাজকর্মী ও গবেষক
ফাহিমা দুররাত, প্রভাষক, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আফসানা হক, রেজওয়ানা রফিক, এবং মুসলেহ উদ্দীন হাসান, সহকারী অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
ইউসুফ সারোয়ার, সহকারি অধ্যাপক, কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
রিয়াজ উদ্দীন, নগর পরিকল্পনাবিদ
তানজিম, শুনলাম। ভাল হচ্ছে। খুব শিগগির দেখা হবে।