আমলাদের বেতন খরচের দ্বিতীয় খাত। আর ঋণ করে তা জোগাতে হয় বলে ঋণের সুদাসল পরিশোধ রাজস্ব ব্যয়ের পয়লা খাত। ব্যাংকে নৈরাজ্য থাকার পরও করপোরেট কর কমবে, ব্যাংক কমিশন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর্থিক খাতের অন্য খাত তথা পুঁজিবাজারেও। পাশাপাশি গোষ্ঠীতন্ত্রের তুষ্টির খাতগুলোতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ।
বাজেট বাস্তবায়নে ধারাবাহিক অবনতি
অনেকে বলে থাকেন, বাজেটের আকার বড়। কিন্তু আশপাশের উন্নয়নশীল দেশগুলোর হিসাব তা বলে না। বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট যেখানে জিডিপির ২১ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে ভারতে তা ২৬ ও মালয়েশিয়ায় ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া উঠতি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাজেট জিডিপির ৩১ শতাংশ। তা ছাড়া কোনো বছরই বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় না। গত অর্থবছরে ২১ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়িত হয়নি। এ হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেট আসলে ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। প্রকল্প প্রণয়ন ও দক্ষতার সংকট, ব্যয়ের দক্ষতার সংকটের ফলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে প্রকৃত এডিপির আকার কমছে।
বাজেট বাস্তবায়নই বর্তমানে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাজেট বাস্তবায়নের হার ক্রমেই কমছে। ওই বছর বাজেটের ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯১ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮৫ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮২ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭৯ শতাংশ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭৮ শতাংশ হয়।
কর-জিডিপি অনুপাত এবং অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা
বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত ২০০৯ সালে ছিল ৯ শতাংশ, যা পরে কমে ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত হয় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, যেখানে পাশের ভারতে ছিল ১৬ দশমিক ১৬, পাকিস্তানে ১০ দশমিক ৫, শ্রীলঙ্কায় ১১ দশমিক ৮ এবং নেপালে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পশ্চাদগামী (রিগ্রেসিভ) কর কাঠামো বিদ্যমান। রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের অবদান বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক সংগৃহীত রাজস্বের অর্ধেকের বেশি আসে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক থেকে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর ও ভ্যাট থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১০০,৭১৯ কোটি ও ১১০,৫৫৫ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এটা আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৯ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা বা প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি। অথচ প্রতি অর্থবছরেই রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি থাকে। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘাটতি যথাক্রমে ৩১ হাজার ৪৩ কোটি ও ২৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
করের টাকা কোথায় যায়
সরকারি ব্যয়ের বড় অংশ যাচ্ছে প্রধান দুটি অনুৎপাদনশীল খাতে। যথা: ১. সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২. ঋণের সুদ পরিশোধ। এ বছরের অনুন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারি ঋণের সুদ পরিশোধে (১৮ শতাংশ)। গত বাজেটে তা ছিল ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ বেশি পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত (১৩ দশমিক ৬ শতাংশ)—আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ কম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। তবে এখানে শিক্ষার মান উন্নয়ন অথবা দক্ষতা বৃদ্ধির বিপরীতে অবকাঠামো খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুমেয় যে স্থানীয় সাংসদ ও অন্যান্য রাজনৈতিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের বরাদ্দ।
বাংলাদেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। নির্মাণ সময়ও সর্বোচ্চ। নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের সম্পদ লুট করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে সম্প্রতি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় করা হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা। ইউরোপে একই ধরনের মহাসড়ক নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ব্যয় হয় ২৮ কোটি টাকা। চীনের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় চার লেন মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয় ১২-১৩ কোটি টাকা এবং দুই লেন মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ১০ কোটি টাকা। যথাযথ কারণেই গোষ্ঠীতন্ত্রের তুষ্টিতে এ খাতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ।
তারপরে অবস্থান জ্বালানি খাতের। একই রকম কারণে। এ সরকারের আমলে সবচে বেশি ভর্তুকি দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র এবং ভারত থেকে অতি উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনে ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়েছে ও হচ্ছে। বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য বারবার বাড়ানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমানো যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকার অপরিণামদর্শীভাবে একের পর এক ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি করে চলেছে। এসব প্রকল্প উচ্চসুদে বিদেশি ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, যা জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যদি কৃত্রিমভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে রাখতে হয়, তাহলে প্রতিবছর এ দুটি খাতে যে পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হবে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।
এতত্সত্ত্বেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়নি। ঢাকা মহানগর ছাড়া দেশের ছোট-বড় শহর/নগর ও গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপ্রতুল ও অনিয়মিত। গ্যাস সরবরাহের বেলাতেও একই অবস্থা বিদ্যমান। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সৌরশক্তি থাকা সত্ত্বেও সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় অনেক কম।
বরাদ্দ কমে যাওয়ার খাতগুলো
সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ কমেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বাজেটে আছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পেনশন, অবসর ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো আমাদের দেশে ৮৭ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাত। এই আমলাতন্ত্রকে দিয়ে এই বিশাল খাতের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা এবং তা বাস্তবায়ন অলীক কল্পনামাত্র বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়।
ঋণ করে ঘি খাওয়ার অর্থনীতি
যদি সরকার প্রস্তাবিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে যায়, যদিও তার সম্ভাবনা কম, সরকারকে ধার্যকৃত প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক ঋণ নিতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা একদিকে যেমন কম এবং অন্যদিকে বৈদেশিক উৎস থেকে প্রস্তাবিত ৫০,০১৬ কোটি টাকার ঋণ ও অনুদান সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়ে যাবে।
প্রতিবছর বাজেটে ঘাটতি রাখা হয় জিডিপির ৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ সীমিত হয়ে পড়ে। অথচ দেখা যায়, বাজেটে বরাদ্দ অর্থের সম্পূর্ণ অংশ বিভিন্ন কারণে ব্যয় করা সম্ভব হয় না, যা বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমায়। বাস্তবে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ শতাংশের মতো। অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো খাতে যেখানে বিনিয়োগ করলে গুণগত প্রভাব তৈরি হয়, সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের বরাদ্দের অনুপাতে স্থির রয়েছে। বাজেট ঘাটতির হিসাবে ঠিক থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ে।
বড় প্রকল্পগুলো শেষ হবে তো?
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্পওয়ারি বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার একটি প্রকল্পও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বড় প্রকল্পগুলোর জন্য অবশ্য বেশি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তালিকায় ১০টি প্রকল্প আছে—পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল প্রকল্প), পদ্মা সেতু রেলসংযোগ, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছাকাছি গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প প্রভৃতি।
আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হয়। আর্থিক ব্যয় ব্যবস্থায় শৃঙ্খলাও জরুরি। যেসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানো অথবা কমানো হয়েছে তা যেমন স্বচ্ছ নয়, তেমন অবস্থা আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায়। এতে কার ওপর কত চাপ পড়বে, কোন খাত থেকে বাড়তি টাকা আসবে, সে ব্যাপারেও কোনো পরিষ্কার কৌশল ও ধারণা অনুপস্থিত। সৃজনশীল চিন্তাভাবনার সংকটও প্রকট।
রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিফলন
বাজেটের আকার আয় ও ব্যয় এ দেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্ভর করে ক্ষমতার ভাগাভাগি ও দখলের ওপর। সে কারণেই নিম্ন, গরিব ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর করের চাপ যেমন বেড়েছে, ঠিক ততোধিক হারে ক্ষমতাশ্রয়ী গোষ্ঠীতান্ত্রিক সুবিধাভোগী শ্রেণি সুবিধা পেয়েছে। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলাদের এই সম্পদ নির্ভরশীল পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সিন্ডিকেট তৃণমূল থেকে কেন্দ্র তথা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত উল্লম্ব কাঠামোতে আবদ্ধ এবং একইভাবে শাসনক্ষমতার প্রতিটি স্তরে তথা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্র পর্যন্ত আবার অনুভূমিকভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে ওপর-নিচ পর্যায়ে অনেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভাগাভাগির অংশীজন হতে পারে। সে কারণেই সর্বস্তরে ভৌত অবকাঠামো তথা রাস্তাঘাট, সেতু, জ্বালানি খাতে বরাদ্দ সর্বাধিক বাড়ানো হয়েছে। একই ধারায় স্থানীয় পর্যায়ে সাংসদদের তত্ত্বাবধানে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদে বখরার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই একই যুক্তিতে আমলাদের বেতন খরচের দ্বিতীয় খাত। আর ঋণ করে জোগাতে হয় বলে ঋণের সুদাসল পরিশোধ রাজস্ব ব্যয়ের প্রথম খাত। ব্যাংকে নৈরাজ্য থাকার পরও করপোরেট কর কমবে, ব্যাংক কমিশন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর্থিক খাতের অন্য খাত তথা পুঁজিবাজারেও। অর্থাৎ জোরজবরদস্তির মাধ্যমে আদিম পদ্ধতিতে পুঁজির পুঁজিভবন ঘটছে। বেড়ে চলেছে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার—সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার উল্টোরথ চলছে।
প্রথম আলো; ১০ জুন ২০১৮, ০৮:০৯