March 29, 2024

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পাকিস্তান ও ভারত সফর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের ভারত সফরকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা বা রুটিন কূটনৈতিক সফর বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। পাকিস্তানে পম্পেওর সঙ্গে যে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সফর করেছে, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন সর্বোচ্চ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। ভারতে সফরের প্রধান বিষয় ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক চুক্তি—কমিউনিকেশনস, কম্পেটেবিলিটি, সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্টে (কমকাসা) স্বাক্ষর করা এবং ২০১৯ সালে যৌথ সামরিক মহড়ার ব্যাপারে ঐকমত্য। পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন ঘটছে, সেই পটভূমিকায় এই সফর, পারস্পরিক আলোচনা এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলো দক্ষিণ এশিয়ার আগামী দিনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচনা করা দরকার।

পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বললে কমই বলা হবে, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যে নতুন মাত্রা, তাকে ভারতের প্রতি ‘পক্ষপাতমূলক’ বললে অতিশয়োক্তি হবে না। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া নীতিকে ‘পাকিস্তান ঘেঁষা’, যাকে ‘টিল্ট’ বলে বর্ণনা করা হতো, এখন তার উল্টোটাই হচ্ছে বাস্তবতা। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের অব্যবহিত আগেই পাকিস্তানকে দেওয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থায়ীভাবে বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা। এই অর্থ পাকিস্তানকে দেওয়ার কথা ছিল কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ডের (সিএসএফ) আওতায়। সিএসএফ হচ্ছে ২০০২ সালে সূচনা করা একটি চুক্তি, যাতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গৃহীত ব্যবস্থা, আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনা মোতায়েন এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি ও অভিযানের জন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যবহারের ব্যয়ভার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে অর্থ দিয়ে থাকে। ২০০২ সাল থেকে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র যে ৩৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, তার মধ্যে ১৪ বিলিয়ন ডলার হচ্ছে এই খাতে দেওয়া অর্থ।

কিন্তু গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের গৃহীত ব্যবস্থাদি বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসেছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা হ্রাসের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একধরনের টানাপোড়েন তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হচ্ছে, পাকিস্তান আফগানিস্তানে তালেবানসহ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিয়ে আসছে। ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে দেওয়া সামরিক সাহায্যের পরিমাণ প্রায় ৭৩ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়।

গত বছর জুলাই মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সিএসএফের আওতায় দেওয়া সব অর্থ সাময়িকভাবে বন্ধ করে এবং জানুয়ারিতে বলা হয় যে এই খাত থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার কেটে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে বলেছে, আফগান-পাকিস্তানে যে ৭০টি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয়, তার মধ্যে কমপক্ষে ২০টি পাকিস্তানভিত্তিক—এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাক্কানি গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এসব গোষ্ঠীর কারণেই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না, এমনকি তালেবানের সঙ্গে একধরনের সমঝোতার পক্ষেও তা বড় ধরনের বাধা।

বিপরীতক্রমে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতার সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সম্প্রতি স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন-১ (এসটিএ-১) মর্যাদা দিয়েছে। এই মর্যাদার সহজ অর্থ হচ্ছে, এখন ভারতের কাছে উচ্চপ্রযুক্তি, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত, বিক্রির অনুমোদন সহজ হবে। সারা বিশ্বের মাত্র ৩৭টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র এই সুবিধা প্রদান করে। এশিয়ায় জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পর ভারতকে এই সুবিধা দেওয়া হলো। এই তালিকাভুক্তির জন্য সাধারণত যেকোনো দেশকে পারমাণবিক অস্ত্র, প্রযুক্তি রপ্তানি ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক চারটি ব্যবস্থার সদস্য হতে হয়। সেগুলো হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র-সংক্রান্ত ব্যবস্থা (এমটিসিআর), ওয়েসনার অ্যারেঞ্জমেন্ট (ডব্লিউএ), অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ (এজি) এবং নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ (এনএসজি)। এর মধ্যে চীনের আপত্তির কারণে এনএসজিতে ভারত অন্তর্ভুক্ত হতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বাকি তিনটি গ্রুপে ভারত যুক্ত হয়েছে। এনএসজিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ভারতকে এসটিএ-১ মর্যাদা দেওয়া একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা, কেননা এর আগে চারটিতে অন্তর্ভুক্তির আগে কোনো দেশ এই সুবিধা পায়নি। এই অনুমোদনের কারণেই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কমকাসা স্বাক্ষর সম্ভব হয়েছে।

পাকিস্তান আফগানিস্তানে তার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের নিশ্চয়তা বিধান করতে, প্রভাব বহাল রাখতে এবং নীতিনির্ধারকদের ধারণায় ভারতের প্রভাব সীমিত করতে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তালেবান ও অন্য গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থনের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘ইঁদুর-বিড়াল’ খেলায় মত্ত থেকেছে। তার পরিণতিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরেও জঙ্গিগোষ্ঠীর শক্তি বেড়েছে, তার জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে এবং বহু প্রাণহানি ঘটেছে। তার প্রভাব পড়েছে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপরে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর প্রতি পাকিস্তানের সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থনের কারণেই আফগানিস্তানে তাকে এক বিজয়-অসম্ভব যুদ্ধে জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক কারণেই এই যুদ্ধের অবসান চায়।

কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন যে ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার কারণ কেবল এগুলো নয়। কেননা, মনে রাখতে হবে যে পাকিস্তানের যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে দরকার, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রেরও পাকিস্তানের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের রসদ এবং খাবার সরবরাহের একমাত্র পথ হচ্ছে পাকিস্তান, তা ছাড়া পাকিস্তানের অস্থিতিশীল রাজনীতির কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের ওপরে নজরদারির জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সরকার এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রক্ষার প্রয়োজন আছে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাদির অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্য। চীন পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু, কিন্তু এখন তার মাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং তার প্রকৃতিতে ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পাকিস্তান–চীন অর্থনৈতিক করিডর (সিপ্যাক) ভূ-রাজনৈতিক কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের জন্য উদ্বেগজনক। ৫৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে করা এই প্রকল্প পাকিস্তানের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে কি না, তা–ও প্রশ্নসাপেক্ষ। চীনের কাছে পাকিস্তানের দেনার পরিমাণ ক্রমবর্ধমান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বাইরে পাকিস্তানের যে দেনা, তার প্রায় ৩৪ শতাংশই হচ্ছে চীনের কাছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও তা ছিল ১৮ শতাংশ। এসব দেনার ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে আইএমএফের কাছে পাকিস্তান ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই আইএমএফকে বলেছে, তারা এই ঋণ বরাদ্দের বিরুদ্ধে, কেননা এই অর্থ দিয়ে পাকিস্তান চীনের ঋণের সুদ মেটাবে।

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য অর্থনীতির এই অবস্থা মোকাবিলা এবং জঙ্গিদের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র সেই কারণে এই মুহূর্তেই পাকিস্তানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। নির্বাচনের আগে ইমরান খান যে ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছিলেন, ক্ষমতায় এসে তা প্রায় বদলেই গেছে। তা সত্ত্বেও পম্পেওর সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যকার দূরত্ব কমেছে। অনুমান করা যায় যে আলোচনা আরও হবে এবং পাকিস্তানকে আরও চাপ মোকাবিলা করতে হবে। ভারতের সঙ্গে মার্কিন ঘনিষ্ঠতাও পাকিস্তানের ওপরে চাপের একটি দিক।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনেরা—রাজনৈতিক ও সামরিক—যদি কোনো বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দিতে রাজি না হয়, তবে তার বিকল্প হচ্ছে চীননির্ভরতা বাড়ানো। আইএমএফের অর্থ না পেলে পাকিস্তানকে চীন ও সৌদি আরবের দ্বারস্থ হতে হবে। চীন চায় না যে আইএমএফ বা আর কারও কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কারণে সিপ্যাক বিষয়ে যেসব গোপন সমঝোতা ও চুক্তি হয়েছে, তা প্রকাশিত হোক, আবার চীনের জন্য পাকিস্তানকে অব্যাহতভাবে ঋণ দেওয়ার বিষয়ও রাজনৈতিক বিবেচনায় খুব প্রীতিকর নয়। এসব সত্ত্বেও এটা বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র যদি অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করে, তবে পাকিস্তানকে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে।

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকতর ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলেই। সেই সময়ে ভারতের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে ওবামার আমলে তা এগোয় ধীরগতিতে এবং শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের মাঝামাঝি তা বাস্তবায়নের কথা থাকলেও তাতে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে যায়। কিন্তু গত এক বছরে, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, তার কারণ ভারতের মোদি সরকারের উৎসাহ এবং ট্রাম্পের নীতি।

এশিয়া, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করে। সেই বিবেচনায়ই ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মৈত্রী বন্ধন। সম্ভবত নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক আদর্শের মিলও এই দুই প্রশাসনের মধ্যে কাজকে সহজতর করেছে। তবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে মতপার্থক্য নেই, তা নয়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে যে দুটি বিষয় প্রধান হয়ে দেখা দেয় তা হচ্ছে, ইরান থেকে ভারতের তেল আমদানি এবং রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়। ভারতের তেল আমদানির কমপক্ষে ১১ শতাংশ আসে ইরান থেকে। কিন্তু ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ হবে ৪ নভেম্বর থেকে এবং যাতে করে ইরান থেকে তেল আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে বলা হচ্ছে, তা মানতে ভারত তার অনীহার কথা জানিয়েছিল।

কিন্তু বৃহস্পতিবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে ইরান থেকে ধীরে ধীরে আমদানি হ্রাস করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই এবং সে জন্য ভারতকে ‘ওয়েইভার’ বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। ভারত রাশিয়া থেকে ৬ বিলিয়ন ব্যয়ে যে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রতিরক্ষা সিস্টেম ক্রয় করতে চাইছে, তা রাশিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরিপন্থী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে এমন ইঙ্গিত মিলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ওয়েইভার দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।

এসব আলাপ-আলোচনা, চাপ, সমঝোতা, চুক্তির অবশ্যম্ভাবী ফল হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি, অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ হওয়া এবং সংঘাতের আশঙ্কা। এগুলোর প্রভাব অবশ্যই কেবল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বা তাদের পেছনে বসে থাকা যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যেই থাকবে না।

প্রথম আলো, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 

Leave a Reply